ছেলের আশায় দশমবার গর্ভবতী, মৃত সন্তান প্রসব করে মারা গেলেন মহিলা

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলেদের সঙ্গে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই মেয়েরা। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনোদন খেলাধূলা সব ক্ষেত্রেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসছে নারীরা। অথচ, গ্রামীণ ভারতীয় সমাজের বিস্তীর্ণ অংশে এখনও মেয়েদের ছেলেদের সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ছেলেরা বংশের প্রদীপ, তাই সন্তান হিসেবে ছেলেদেরই চাই। শেষ জীবনে পাশে দাঁড়াবে পুত্রসন্তানই। এই চিরাচারিত ট্যাবু থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি আমাদের সমাজ। তাই এখনও এখানে ভ্রুণহত্যা হয়, বছরের পর বছর শুধু পুত্রসন্তানের অপেক্ষায় জনসংখ্যা বাড়িয়ে যান বহু মানুষ। এই প্রবণতা যে মারাত্মক তা আরও একবার প্রমাণিত হল মহারাষ্ট্রে। পুত্রসন্তানের লোভে নটি সন্তান আগেই নিয়ে ফেলেছেন দম্পতি। এবার ছিল দশম সন্তানের জন্মের পালা। শেষ পর্যন্ত পুত্রসন্তান পেলেন। তবে, মৃত সন্তান প্রসব করলেন মহিলা। প্রাণ হারাতে হল মাকেও।

[ফের অভিযান এনআইএ-র, জালে ৫ সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি]

নাম মীরা এখান্ডে। বয়স ৩৮ বছর। মুম্বই থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে মাজালগাঁও নামের একটি ছোট শহরে পানের দোকান চালাতেন। ৩৮ বছর বয়সে শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে মাজালগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মীরার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বেশি বয়সে সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে এমনিতেই ঝুঁকি থাকে। তার উপরে এই নিয়ে এটা ছিল তাঁর দশম প্রেগনেন্সি। এই ধকল মহিলার শরীর নিতে পারেনি।

[সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি পাক সেনার, ভারতীয় জওয়ানের গুলিতে নিকেশ ২]

কিন্তু প্রশ্ন হল, দশটি সন্তান নেওয়ার কী প্রয়োজন ছিল মীরাদেবী এবং তাঁর পরিবারের। আসলে মীরাদেবীর ইতিমধ্যেই ৭টি কন্যাসন্তান হয়েছে। কিন্তু, পরিবার পুত্রসন্তানই চাইছিল। এর আগে আরও দু’বার গর্ভবতী হয়েছিলেন তিনি। তখন গর্ভপাত করানো হয়। কিন্তু এবারে পুত্রসন্তান হওয়ার আশায় গর্ভপাত করানো হয়নি। পরিবারের আশা ছিল সাতটি কন্যার পর এবার একটি পুত্রসন্তান হবে। হলও তাই। তবে, সে পৃথিবীতে এল মৃত অবস্থায়। সেই সঙ্গে প্রাণ গেল মায়েরও।



Bengali News Bengali News via Sangbad Pratidin

Comments

Popular posts from this blog

তোলা চেয়ে জেল থেকেই ব্যবসায়ীকে হুমকি ফোন গব্বর-রমেশের

‘পাক সহায়তায় মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে কংগ্রেস’, আক্রমণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর

পেট্রোল ছাড়াই চলবে বাইক, দিশা দেখালেন নদিয়ার স্কুল মাস্টার