রেলের শূন্যপদে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধদের নিয়োগ, সরব কর্মী সংগঠন
সুব্রত বিশ্বাস: পূর্ব রেলের নিয়োগে এবার ইন্টারভিউ দিলেন ষাটোর্ধ্ব ২০ জন। শরীর ঋজু রাখতে বিপন্ন বোধ করে যেই বয়সে, সেই বয়সে আবার চাকরিতে ঢুকলেন তাঁরা। বুধবার পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে সিপিও অরুণা নায়ার নিজে এই ইন্টারভিউ নিলেন। ইন্টারভিউয়ের প্রশ্ন, কোন পদে চাকরি করেছেন, অভিজ্ঞতা কী, ইত্যাদি। পদ-ক্লার্ক, বেতন ন্যূনতম ৪৫ হাজারের মতো বলে জানা গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা সকলেই রেলের অবসরপ্রাপ্ত। তাঁরা প্রত্যেকেই পঞ্চাশ হাজারের উপর পেনশন পান, জমা অর্থ ব্যাঙ্কে রেখে আরও তিরিশ হাজার মাসে আয় করেন। মাসে আশি হাজার আয়ের পর আবার চাকরিতে নিয়োগ বুড়ো বয়সে? এনিয়ে সরব হয়েছে পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়ন।
[কী কী থাকতে পারে মোদি সরকারের শেষ বাজেটে?]
সাধারণ সম্পাদক সূর্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। রেল থেকে অবসর নেওয়ার পর ‘বুড়ো’ বয়সে আবার মোটা টাকার বিনিময়ে কনট্রাক্টচুয়ালে ঢুকবে কর্মীরা, আর লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার ছেলে পথে ঘুরে বেড়াবে তা হতে পারে না। অবিলম্বে রেল প্রশাসনের এই নীতি বন্ধ করতে হবে। বুধবারই সিপিওর সামনে গিয়ে প্রবল বাধা সৃষ্টি করলেও ইউনিয়নের সব বাধা উপেক্ষা করে ‘বুড়ো’দের রেলে নিয়োগ করে। রেল জানিয়েছে, বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ষাটোর্ধ্ব অবসরপ্রাপ্তদের কাজে নিয়োগ করবে পাঁচ বছরের চুক্তিতে। এজন্য নাম কা ওয়াস্তে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহীদের নিয়োগ শুরু করেছে রেল। এই মুহূর্তে দু’লক্ষ ষাট হাজারের বেশি শূন্য পদ রয়েছে ভারতীয় রেলে। নিয়োগ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে রেলমন্ত্রক। তবে তা কার্যকর হয়নি। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা শুরু করেছে রেল বলে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন জানিয়েছে।
[বাজেটের আগেই কমল রান্নার গ্যাসের দাম]
সাধারণ সম্পাদক সূর্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমে ক্লার্কে, পারে কমার্শিয়ালের বিভিন্ন বিভাগে, পরে স্টেশন মাস্টারে এভাবে অবসরপ্রপ্তদের নিয়োগের চেষ্টা হয়। আন্দোলনে বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎই বুধবার অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ হল। এটা একেবারে অনভিপ্রেত। রেল কতটা উদাসীন হলে তবেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সেটা বোঝা যাচ্ছে। কারণ, এই কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মীদের ভুলের কোনও মাশুল দিতে হবে না। সাজা তো দূরস্ত। এতে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে বলে তিনি অভিযোগ করেন। পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে প্রায় চল্লিশ শতাংশ ক্লার্কের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। এভাবে নিয়োগ বন্ধ করে নতুন ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকারদের নিয়োগের দাবি তুলেছে কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়ন। সিপিও ও ডিআরএমকে আবেদনও জানান তারা।
Bengali News Bengali News via Sangbad Pratidin
Comments
Post a Comment